ছোটবেলায় মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজন অথবা পাড়াপড়শিরা আমাকে "উপোস' শেখাতে চাইতেন৷ এদিকে খামোখা উপোসটুপোস আমার পোষায় না কোনকালেই৷ একটু বড় হওয়ার পর শুভার্থীরা আমার শ্রবণসীমার মধ্যে; 'মেয়ে হয়ে জন্মিয়েও উপোস করে না, কি অলক্ষ্মী মেয়ে বাবা! আর মা'কেও বলিহারি, মেয়েকে শেখায়ও না' জাতীয় বাক্যাংশ বেশ স্বর চড়িয়েই উচ্চারণ করতেন৷ কিন্তু উপোসটুপোস আমার দ্বারা কোনদিনই হয় নি৷ গান্ধিজীর সম্পর্কে পড়তে গিয়েও প্রথম কথাই মনে হয়েছিল 'বাপরে না খেয়ে দিনের পর দিন থাকে কি করে! আয়ত্ত্বের মধ্যে খাবার আছে কিন্তু দিনের পর দিন খাচ্ছে না, কি সাংঘাতিক সংযম'৷ বেশ বড় হয়ে জানলাম 'সাল্লেখানা'-- জৈনদের একটি রীতি, যাতে এক এক করে বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় ত্যাগ করে শেষপর্যন্ত অনশনে দেহত্যাগ --- সেও বড় অবাক করেছিল৷
খোঁজাখুঁজি
Wednesday, December 30, 2009
Sunday, December 20, 2009
প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প পদ্ধতি
আমাদের বালিকা বিদ্যালয়টি আমাদের এলাকায় "ভাগাড়পাড়ার স্কুল' নামে পরিচিত ছিল। ছাত্রীরা অধিকাংশই প্রথম কিম্বা দ্বিতীয় প্রজন্মের পড়ুয়া। টানা ১০-১২ বছর মাধ্যমিকে একটিও ফার্স্ট ডিভিশান না পাওয়ার রেকর্ডবিশিষ্ট এই স্কুলে "নাকি' একটা পাঠাগার ছিল। নাকি লিখলাম, কারণ সে পাঠাগারের অস্তিত্ব আমরা স্কুলজীবনে কোনওদিন অনুভব করিনি। আমাদের কোন গল্পের বইয়ের ক্লাস ছিল না, কোনওদিন কোনও বই ইস্যু করা তো দূরে থাক, ক্লাসে বসে পড়তেও কেউ দেয় নি। কিন্তু প্রতিবছর যখন দিদিমণিরা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জন্য বই কিনতে যেতেন, তখন পাঠাগারের বই কেনা নিয়েও তাঁদের টুকটাক আলোচনা কানে আসত। টিচার্সরুমে কিছু প্রাচীন ও গম্ভীর আলমারীর গর্ভে সেইসব বইরা অতিযত্নে তালাবন্ধ হয়ে থাকত।
Saturday, September 26, 2009
এবড়ো খেবড়ো রং - ২
১৷
এমনিতে বৃষ্টি নিয়ে আমার তেমন কোন অতিরিক্ত ভাললাগা নেই৷ রাস্তায় বেরোতে না হলে, বৃষ্টির শোভা উপভোগ করতে পারি, কিন্তু বেরোতে হলে বৃষ্টি আমার দু'চক্ষের বিষ৷ এই বছর বর্ষার শুরুর দিকে তেমন বৃষ্টি টিষ্টি হল না, খরা হতে পারে এই সম্ভাবনায় সবাই যখন বেশ চিন্তিত তখনই হুড়মুড়িয়ে শুরু হল বৃষ্টি৷ জুলাই মাসটা বেশ জল চুপচুপে হয়ে কাটার পর গোটা আগস্ট মাসটা শুকনো গেল৷ এরই মধ্যে পুণেতে সোয়াইন ফ্লু একেবারে মহামারী হয়ে দেখা দিল৷ চারদিকে আতঙ্ক, বেশ কিছু লোকজন মারাও গেল, বাজারে জোরদার কনস্পিরেসির গুজব৷ মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় উত্সব "গণপতি উত্সব' এসে চলেও গেল৷ এবারে তেমন জাঁকজমক হয় নি৷ লোকজন নাকে মুখে নাকোশ বেঁধে ঘুরে বেড়াতে লাগল, অথবা বাড়ী থেকে বেরোলই না৷ আগস্টের শেষ থেকে আবার শুরু হল বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ৷ বিভিন্ন জলাধারের জলের উচ্চতা মাপা হতে লাগল রোজ৷ বর্ষাকালে জলাধার ভর্তি না হলে আগামী গরমে লোডশেডিং আর জলকষ্ট দুইই বাড়বে চরমে৷ পুণেতে পানীয় জলের সরবরাহ দেয় খড়গপাস্লা জলাধার৷ ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত তার ৭০ শতাংশ ভর্তি হয়েছে৷ বেশ চিন্তার ব্যপার সন্দেহ নেই৷
এমনিতে বৃষ্টি নিয়ে আমার তেমন কোন অতিরিক্ত ভাললাগা নেই৷ রাস্তায় বেরোতে না হলে, বৃষ্টির শোভা উপভোগ করতে পারি, কিন্তু বেরোতে হলে বৃষ্টি আমার দু'চক্ষের বিষ৷ এই বছর বর্ষার শুরুর দিকে তেমন বৃষ্টি টিষ্টি হল না, খরা হতে পারে এই সম্ভাবনায় সবাই যখন বেশ চিন্তিত তখনই হুড়মুড়িয়ে শুরু হল বৃষ্টি৷ জুলাই মাসটা বেশ জল চুপচুপে হয়ে কাটার পর গোটা আগস্ট মাসটা শুকনো গেল৷ এরই মধ্যে পুণেতে সোয়াইন ফ্লু একেবারে মহামারী হয়ে দেখা দিল৷ চারদিকে আতঙ্ক, বেশ কিছু লোকজন মারাও গেল, বাজারে জোরদার কনস্পিরেসির গুজব৷ মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় উত্সব "গণপতি উত্সব' এসে চলেও গেল৷ এবারে তেমন জাঁকজমক হয় নি৷ লোকজন নাকে মুখে নাকোশ বেঁধে ঘুরে বেড়াতে লাগল, অথবা বাড়ী থেকে বেরোলই না৷ আগস্টের শেষ থেকে আবার শুরু হল বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ৷ বিভিন্ন জলাধারের জলের উচ্চতা মাপা হতে লাগল রোজ৷ বর্ষাকালে জলাধার ভর্তি না হলে আগামী গরমে লোডশেডিং আর জলকষ্ট দুইই বাড়বে চরমে৷ পুণেতে পানীয় জলের সরবরাহ দেয় খড়গপাস্লা জলাধার৷ ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত তার ৭০ শতাংশ ভর্তি হয়েছে৷ বেশ চিন্তার ব্যপার সন্দেহ নেই৷
Sunday, August 30, 2009
ভুত সম্পর্কে যে দু'চার কথা জানলাম
বাঙালি ভুতের উত্পত্তি, গায়ের রং, ওজন ইত্যাদি কিছু তথ্য জানতে পেরে, জনস্বার্থে তথ্যগুলি সবাইকে জানানো দরকার মনে হল৷
তো, আসুন তাহলে ভুতের উত্পত্তি দিয়েই শুরু করি৷ মানুষ মরে ভুত হয়, সে তো আমরা সবাই জানি৷ত্রৈলোক্যনাথও বলেছেন "মানুষ মরে ভুত হয়৷ ভুত মরে মার্বেল হয়'৷ ভুতেদের অধিকাংশই মানুষ মরেই হয় বটে, তবে দু'চারটে ভুত কিন্তু অন্য উপায়েও হয়৷ কেমন করে? এই ধরুন "ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ' বলে একটা কথা আছে৷ তা সে কথা কি অমনি অমনি আকাশ থেকে পড়ল? নিশ্চয়ই ভুতের ছেলে ভুত হয়, নাহলে আর বাপ মরলে শ্রাদ্ধ করবে কী করে? এরা হল গিয়ে দুইপুরুষে ভুত, ভুতেদের মধ্যে অভিজাত শ্রেণী৷
তো, আসুন তাহলে ভুতের উত্পত্তি দিয়েই শুরু করি৷ মানুষ মরে ভুত হয়, সে তো আমরা সবাই জানি৷ত্রৈলোক্যনাথও বলেছেন "মানুষ মরে ভুত হয়৷ ভুত মরে মার্বেল হয়'৷ ভুতেদের অধিকাংশই মানুষ মরেই হয় বটে, তবে দু'চারটে ভুত কিন্তু অন্য উপায়েও হয়৷ কেমন করে? এই ধরুন "ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ' বলে একটা কথা আছে৷ তা সে কথা কি অমনি অমনি আকাশ থেকে পড়ল? নিশ্চয়ই ভুতের ছেলে ভুত হয়, নাহলে আর বাপ মরলে শ্রাদ্ধ করবে কী করে? এরা হল গিয়ে দুইপুরুষে ভুত, ভুতেদের মধ্যে অভিজাত শ্রেণী৷
Thursday, March 5, 2009
এবড়ো খেবড়ো রং - ১
এক এক্কে এক
---------------
কবে যেন একটা "বিশ্ব চকোলেট দিবস' ছিল ৷ তাই নিয়ে অফিসে শুরু হল আদিখ্যেতা ৷ এই যে মন্দার বাজার, তা এইচ আরের লোকজনএর হাতে আর তেমন কাজটাজ নেই , নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে তাই প্রতিমাসে একটা করে "ইভেন্ট' এর আয়োজন করে চলেছে ৷ তেমনই এক ইভেন্ট হল চকো-ফেস্ট৷ কদিন ধরে সমানে মাস মেইল আসছে, বক্তব্য হল "চকোলেট কিনুন ও কেনান'৷ কিছু নির্দিষ্ট প্রতিনিধির কাছে আপনি টাকা জমা দিয়ে বলে আসুন কাকে কি কি দিতে চান ৷ ওরা একটা মেসেজ কার্ড দেবে, তাতে আপনার বক্তব্য লিখে প্রতিনিধির হাতে দিয়ে দিন ৷ নির্দিষ্টদিনে সে গিয়ে চকোলেট আর মেসেজ দিয়ে আসবে ৷ বেশ কথা ৷ হাল্কা একটু তাচ্ছিল্যের ভাব থাকলেও আশেপাশের লোকেদের যতটা পারলাম উত্সাহিত করা চেষ্টা করলাম ৷ রুকিদেরই বেশী উত্সাহ ৷
---------------
কবে যেন একটা "বিশ্ব চকোলেট দিবস' ছিল ৷ তাই নিয়ে অফিসে শুরু হল আদিখ্যেতা ৷ এই যে মন্দার বাজার, তা এইচ আরের লোকজনএর হাতে আর তেমন কাজটাজ নেই , নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে তাই প্রতিমাসে একটা করে "ইভেন্ট' এর আয়োজন করে চলেছে ৷ তেমনই এক ইভেন্ট হল চকো-ফেস্ট৷ কদিন ধরে সমানে মাস মেইল আসছে, বক্তব্য হল "চকোলেট কিনুন ও কেনান'৷ কিছু নির্দিষ্ট প্রতিনিধির কাছে আপনি টাকা জমা দিয়ে বলে আসুন কাকে কি কি দিতে চান ৷ ওরা একটা মেসেজ কার্ড দেবে, তাতে আপনার বক্তব্য লিখে প্রতিনিধির হাতে দিয়ে দিন ৷ নির্দিষ্টদিনে সে গিয়ে চকোলেট আর মেসেজ দিয়ে আসবে ৷ বেশ কথা ৷ হাল্কা একটু তাচ্ছিল্যের ভাব থাকলেও আশেপাশের লোকেদের যতটা পারলাম উত্সাহিত করা চেষ্টা করলাম ৷ রুকিদেরই বেশী উত্সাহ ৷
Sunday, February 1, 2009
ছাঁটা ফুলের আসন
দমুকে বললাম দেখ নিজের জীবন থেকে একটা কিছু লিখতে হবে, যা কোনোদিন কাউকে বলা হয় নি । দমু বলল লিখে ফেলো, সমস্যা কি? আমি বললাম না মানে --- না বলা কথা । দমু বলল তাতেই বা সমস্যা কি? খুকীর গল্প লিখে দাও না । ও গল্প তো কেউ জানে না । আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোন খুকী? দমু বলল : খুকীটা আমি-খুকী হতে পারে, তুমি-খুকী হতে পারে , অথবা সেই-খুকীও হতে পারে । আসলে আমাদের এখানে তো আমি-খুকী, তুমি-খুকী বা সেই-খুকীর গল্পগুলো উল্টেপাল্টে এরটা তার ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেও খুব একটা ভুল হয় না । কোথায়ও না কোথায়ও গিয়ে সব খুকীদের গল্পগুলৈ একইরকম হয়ে যায়।
Subscribe to:
Posts (Atom)