খোঁজাখুঁজি

Tuesday, August 3, 2021

দুষ্কালের পদধ্বনি

কটনমিলের পুকুরে সদ্য স্নান করে এসে কার্নিশে বসে পাখনা ছড়িয়ে ঠোঁট দিয়ে পালকের মধ্যে থেকে কুটোকাটা , বালির দানা পরিস্কার করতে করতে সামনের জানলার পাল্লার দিকে নজর রাখছিল কমলেকামিনী। ওদিকে সামনের লোহার গেটখুলে গাড়ি থেকে বড় লাল স্যুটকেসটা নামিয়ে বারান্দায় রাখছিল ঝরোখা। সুমনা ফিল্টারে জল ভরছিল জানলার পাশে দাঁড়িয়ে। গেটের আওয়াজ শুনে এসে শোবার ঘরের দরজা খোলে, স্যুটকেসটা গড়িয়ে এনে খাট আর দরজার মাঝের ফাঁকটায় খাটের মাথা ঘেঁষে রাখে। ঝরোখা গাড়ির ভাড়া মিটিয়ে মস্ত ব্যাকপ্যাক আর কাঁধে তেরচা করে ঝোলানো ব্যাগটা নিয়ে / ঘরে ঢোকে। শোবার ঘরে পরে যাবে, আগে ছ্যাঁচাভারী ব্যাকপ্যাকটা রেখে ঘড়িটড়িগুলো খোলা যাক। সুমনা আবার ফেরত যায় ফিল্টারের সামনে, জানলার পর্দাটা সরায় একটু। কমলেকামিনী ঘাড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এদিক ওদিক দেখে। কার্ণিশের নীচের দরজাটায় আওয়াজ হয় ক্যাঁঅ্যাঁচ খটাশ। দীপাবৌদি উঠে কলতলায় যাচ্ছে। সুমনা আবার পর্দাটা টেনে দেয়, বাড়িগুলো এত ঘেঁষাঘেষি! কমলেকামিনী ডানা ছড়িয়ে কটনমিলের ফ্ল্যাটগুলোর দিকে উড়াল দেয়, এখন আর এখানে বসে থেকে লাভ নেই।