সেপ্টেম্বর মাস খুবই ব্যস্ততার মাস৷ পুজোর ঠিক আগে আগে ইচ্ছেয় হোক কি অনিচ্ছায় সামাজিক, পারিবারিক দায়িত্ব কিছু পালন করতেই হয়৷ ফলে সময়ের টানাটানি আরও বেড়ে যায়৷ এমনিতেই সারাবছর সময়ের পেছনে পাঁইপাঁই করে দৌড়েও সময়কে ধরে উঠতে পারি না৷ যাই হোক মোদ্দা কথা হল, এই মাসে বইটই তেমন পড়া হয় নি৷ অল্প যে দুই একখান হয়েছে তাই লিখে রাখি৷
খোঁজাখুঁজি
Saturday, October 1, 2011
Monday, September 5, 2011
মাসকাবারি বইপত্তর - অগাস্ট
এই কিছু বছর ধরে আমার স্বভাব এমন হয়েছে, একসাথে দুই তিনখানা বই, কখনও বা চার পাঁচখানাও একসাথে শুরু করি, তারপর তারা বিভিন্ন সময়ে পড়া শেষ হয়৷ হঠাত্ই মনে হল প্রতি মাসের শেষে একটা হিসাব রাখলে মন্দ হয় না, কোনগুলো শেষ হল আর কেমন লগল তার৷ নিতান্তই সংক্ষিপ্তাকারে শুরু করি, পরে দেখা যাবেখন৷
Sunday, June 19, 2011
পরীবালা
১
--
এ: যত তাড়াতাড়িই কর না কেন, সেই সন্ধ্যে হয়ে এলো ----- খুব বিরক্ত হয়ে ছবির মা আকাশের দিকে একবার তাকাল, যদি মেঘ করে বেলা ছোট লেগে থাকে৷ কিন্তু না: আকাশ তকতকে নীল, সন্ধ্যেই হয়ে আসছে৷ এখনও লালবাড়ির বাসনমাজা আর মুনি দের বাড়ি বাসন মাজা, বারান্দামোছা বাকী৷ তারপর বাড়ি গিয়ে কাপড় ছেড়ে এসে মুনিদের বাড়ির পুজোর বাসন মাজতে হবে৷ মুনির দিদা পাঁচবাড়ির বাসনমাজা কাপড়ে পুজোর বাসন মাজতে দেয় না৷ আর বুড়ীর চোখও বলিহারি, ঠিক বুঝে যায় কাচা কাপড় না ছেড়ে রাখা কাপড় পরে এসেছে৷ তবে বুড়ী বকাবকি করে টরে না৷ দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুধু বলে 'ঠাকুর তুমি দেখো'৷ ঐ শ্বাস আর বলার মধ্যে কি যেন থাকে, ছবির মা'র ভয়ে গলা শুকিয়ে যায়৷ দুই একদিন হয়েছে এরকম৷ তাড়াহুড়োতে ছবির মা আর কাচা কাপড় না খুঁজে হাতের কাছে আগের ছেড়ে রাখা কোন কাপড় পরে চলে এসেছে, আর ঠাকুরের বাসন নিয়ে মাজতে শুরু করার পরে মুনির দিদা দেখতে এসেই জিগ্যেস করেছে 'আইজ তুমি কাসা কাপড় পর নাই ছবির মা? এইডা তো আগের ছাইড়্যা থোওন কাপড় মুনে অয়'৷ আর তারপরই লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলে 'ঠাকুর তুমি দেইখ্যো' বলে আস্তে আস্তে কুয়োতলা থেকে চলে যাওয়া৷ প্রথমবার ছবির মা ভয়ের চোটে কেঁদেই ফেলেছিল৷ ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘর করে, ঠাকুরের অভিশাপ লাগলে আর দেখতে হবে না৷ এখন খেয়াল করে সকালে রোজ একটা আর দুপুরে করে চান করে খেতে আসে সময় আর একটা কাপড় কেচে দিয়ে যায় ছবির মা, যাতে বিকেলে অন্তত একটা কাপড় শুকিয়ে যায়৷ তা, এই বাড়িতে কাজ করছে আজ চোদ্দো বছর হল, সবারই রীতধর্ম জানা হয়ে গেছে ওর এতদিনে৷
--
এ: যত তাড়াতাড়িই কর না কেন, সেই সন্ধ্যে হয়ে এলো ----- খুব বিরক্ত হয়ে ছবির মা আকাশের দিকে একবার তাকাল, যদি মেঘ করে বেলা ছোট লেগে থাকে৷ কিন্তু না: আকাশ তকতকে নীল, সন্ধ্যেই হয়ে আসছে৷ এখনও লালবাড়ির বাসনমাজা আর মুনি দের বাড়ি বাসন মাজা, বারান্দামোছা বাকী৷ তারপর বাড়ি গিয়ে কাপড় ছেড়ে এসে মুনিদের বাড়ির পুজোর বাসন মাজতে হবে৷ মুনির দিদা পাঁচবাড়ির বাসনমাজা কাপড়ে পুজোর বাসন মাজতে দেয় না৷ আর বুড়ীর চোখও বলিহারি, ঠিক বুঝে যায় কাচা কাপড় না ছেড়ে রাখা কাপড় পরে এসেছে৷ তবে বুড়ী বকাবকি করে টরে না৷ দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুধু বলে 'ঠাকুর তুমি দেখো'৷ ঐ শ্বাস আর বলার মধ্যে কি যেন থাকে, ছবির মা'র ভয়ে গলা শুকিয়ে যায়৷ দুই একদিন হয়েছে এরকম৷ তাড়াহুড়োতে ছবির মা আর কাচা কাপড় না খুঁজে হাতের কাছে আগের ছেড়ে রাখা কোন কাপড় পরে চলে এসেছে, আর ঠাকুরের বাসন নিয়ে মাজতে শুরু করার পরে মুনির দিদা দেখতে এসেই জিগ্যেস করেছে 'আইজ তুমি কাসা কাপড় পর নাই ছবির মা? এইডা তো আগের ছাইড়্যা থোওন কাপড় মুনে অয়'৷ আর তারপরই লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলে 'ঠাকুর তুমি দেইখ্যো' বলে আস্তে আস্তে কুয়োতলা থেকে চলে যাওয়া৷ প্রথমবার ছবির মা ভয়ের চোটে কেঁদেই ফেলেছিল৷ ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘর করে, ঠাকুরের অভিশাপ লাগলে আর দেখতে হবে না৷ এখন খেয়াল করে সকালে রোজ একটা আর দুপুরে করে চান করে খেতে আসে সময় আর একটা কাপড় কেচে দিয়ে যায় ছবির মা, যাতে বিকেলে অন্তত একটা কাপড় শুকিয়ে যায়৷ তা, এই বাড়িতে কাজ করছে আজ চোদ্দো বছর হল, সবারই রীতধর্ম জানা হয়ে গেছে ওর এতদিনে৷
Friday, April 22, 2011
ঝর্ণা যেথায় বসত করে
মাইকের অত্যাচারে আর আনন্দের ওভারডোজে পুজোর সময় কলকাতা বা আশেপাশে থাকা যাবে না বলে পুজোর দুমাস আগে থেকেই হন্যে হয়ে বেড়ানোর প্ল্যান শুরু করেছিলাম এখান ওখান সেখান করতে করতে সিকিম ফাইনাল হল বন্ধু অরিজিৎও সুমনা, ঋক, ঋতিকে নিয়ে যাচ্ছে, একই সময় গেলে একসাথে হইহল্লা করতে করতে যাওয়াও হবে আর গাড়ীভাড়াও শেয়ার করা যাবে এইসব সাত্পাঁচ ভেবেটেবে ঠিক হল উত্তর সিকিম আমরা একসাথে 'ফর্চুনা রেসর্টসের প্যাকেজে ঘুরব, আর বাকীটা যে যার মত
Friday, January 28, 2011
কলিকাতা পুস্তকমেলা - প্রথমদিনের এক ঝলক
যথারীতি জানুয়ারীর শেষ বুধবারে শুরু হয়ে গেল কলিকাতা পুস্তকমেলা কততম বর্ষ যেন? খেয়াল নেই আসলে আমি তো মেলায় যাই না সে কত্তবছর হয়ে গেল ২০০২ এ যখন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়লাম সেই তখন থেকেই আর বইমেলায় আসা হয় না যেবার সুভাষ দত্ত মশাই গিল্ডকে পার্ক স্ট্রীটের সামনের ময়দান থেকে উৎখাৎ করেই ছাড়লেন, সেইবারে আমি বইমেলা দেখব বলেই ছুটি নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু হায় বইমেলা সেবারে আজ হচ্ছে, কাল হচ্ছে করে এত দেরী করে ফেলল যে আমার ছুটি ফুরিয়ে গেল একদিন শুধু গিয়ে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ঠাঁই ঠকাঠক করে স্টল বানানো দেখে এলাম তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড গতবছর থেকে আর ঝামেলা ঝঞ্ঝাট না করে 'মিলনমেলা' প্রাঙ্গনেই বইমেলার আয়োজন করছে এই মিলনমেলা প্রাঙ্গনটা ময়দানের জায়গার তুলনায় বেশ একটু ছোট তাই নিয়ে গজগজ করলেও আপাতত ওখানেই হচ্ছে বইমেলা
জানুয়ারীর শেষ বুধবার সাধারণতঃ ২৬শে জানুয়ারীর আশেপাশেই হয় প্রতি বছর আর ২৬শে জাতীয় ছুটি হওয়ার সুবাদে ঐ দিনটায় মেলায় ভালই লোক হয় তায় এইবার থেকে গিল্ড প্রবেশমূল্য তুলে দিয়েছে এতদিন ৫ টাকা করে টিকিট কেটে ঢুকতে হত আমি ও আমার দু একজন বন্ধু অবশ্য স্বার্থপরের মতই চাই গিল্ড প্রবেশমূল্য আরো অনেকটা বাড়িয়ে দিক, যাতে মেলায় ভুলভাল ভীড়টা একটু কম হয় ময়দানের মেলায় বইয়ের সাথে বিশেষ সম্পর্ক না থাকা, নিছকই সময় কাটানো লোকজনের সাথে এমনকি ছেলে-মেয়ে দেখার কাজটাও সারতে দেখেছি প্রবেশমূল্য তুলে দিলে এই ধরণের লোকজনের আনাগোনা আরো বাড়বে বলেই আশঙ্কা
জানুয়ারীর শেষ বুধবার সাধারণতঃ ২৬শে জানুয়ারীর আশেপাশেই হয় প্রতি বছর আর ২৬শে জাতীয় ছুটি হওয়ার সুবাদে ঐ দিনটায় মেলায় ভালই লোক হয় তায় এইবার থেকে গিল্ড প্রবেশমূল্য তুলে দিয়েছে এতদিন ৫ টাকা করে টিকিট কেটে ঢুকতে হত আমি ও আমার দু একজন বন্ধু অবশ্য স্বার্থপরের মতই চাই গিল্ড প্রবেশমূল্য আরো অনেকটা বাড়িয়ে দিক, যাতে মেলায় ভুলভাল ভীড়টা একটু কম হয় ময়দানের মেলায় বইয়ের সাথে বিশেষ সম্পর্ক না থাকা, নিছকই সময় কাটানো লোকজনের সাথে এমনকি ছেলে-মেয়ে দেখার কাজটাও সারতে দেখেছি প্রবেশমূল্য তুলে দিলে এই ধরণের লোকজনের আনাগোনা আরো বাড়বে বলেই আশঙ্কা
Subscribe to:
Posts (Atom)