জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতীক সান্যাল তার সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের একজনের থেকে একটি এসএমএস পায় পরেরদিন তার ল্যাপটপ, হেডফোন, আরএসএ টোকেন ইত্যাদি সংস্থাপ্রদত্ত যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে অফিসে যাবার জন্য। তাতে আরো লেখা কিছু সরঞ্জাম সুরক্ষাবিধির মানের তুলনায় নিম্নমানের হওয়ায় সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে কী করা যায়। প্রতীক পরেরদিন দুপুরে অফিস পৌঁছানো মাত্র দেহের তাপমাত্র পরীক্ষা ও মোবাইলে আরোগ্য সেতু পরীক্ষার পর পরই এক সুরক্ষাকর্মী তার সঙ্গ নিয়ে গাড়িতে চেপে বসেন, তাকে মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে মোবাইল ফোন অফ করিয়ে তবে তিনি যান। এরপরে সিস্টেম সাপোর্টের লোক এসে তার ল্যাপটপসহ যাবতীয় জিনিষ পরীক্ষা করার নামে চেয়ে নিয়ে যাবার পর ওকে আরেকটি ঘরে পৌঁছে দেয়। সেই ঘরে দুজন বসে, যারা ওকে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি দিয়ে সই করে দিতে বলে। চিঠিতে লেখা আছে ‘ব্যক্তিগত কারণে প্রতীক সান্যাল আজ এই মুহূর্তে এই সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছে’। ওর বিভ্রান্ত মুখ দেখে উপস্থিত দুজনের একজন বলেন কোভিডজনিত কারণে সংস্থার ব্যবসায় মন্দা দেখা দেওয়ায় তাঁরা প্রতীককে আর রাখতে পারছেন না। ও যেহেতু গত ৪৫ দিন ধরে কোন প্রোজেক্টে নেই, বেঞ্চে আছে, ফলে ওর বেতন সংস্থার জন্য অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় এছাড়া আর কোন উপায় তাঁরা দেখছেন না।